ভারত সিরিজে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা ‘এসজি বল’– কী আছে এই বলে?

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের শক্তিশালী দল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই চক্রেই ফাইনাল খেলেছে দলটা। প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে খেলা। সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে ভারতের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকারই কথা বাংলাদেশের। সেইজন্য মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে চলছে বাংলাদেশ দলের কঠোর প্রস্তুতি। পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে আসা দলটা এবার ভারতেও ভাল কিছু করে দেখাতে আগ্রহী।

তবে ভারতে বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে অন্য এক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের জন্য ভারত সিরিজে অপেক্ষা করছে অপেক্ষাকৃত অপরিচিত ‘এসজি বল।’ সাধারণত কোকাবুরা খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশ। নিজেদের হোম সিরিজে এই বলই ব্যবহার করে টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও পেয়েছিল কোকাবুরা বল। রাওয়ালপিন্ডির পিচে নিজেদের খেলাটা তাই উপভোগই করেছে বাংলাদেশ।

 

আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনেও লিটন কুমার দাস কথা বললেন এসজি বল প্রসঙ্গে, ‘আপনারা জানেন ভারত বড় একটা দল, আর এই বলে আমরা খুব কমই খেলি। আমাদের প্লেয়াররা খুবই পরিশ্রম করছে দেখা যাক কি হয়। প্রস্তুতি বলতে আমাদের সেরা বোলারদের বলই আমরা খেলছি। কিছুটা কঠিন তো আছেই। আপনি যদি দেখেন কোকাবুরার নতুন বল খেলা কঠিন, তবে পুরাতন বল খেলা সহজ। আর এসজি বলে নতুন বল খেলা সহজ বলেও পুরাতন বল কিন্তু খেলা কঠিন।’

ভারত তাদের হোম সিরিজে নিজেদের দেশের হাতে তৈরি করা এসজি বল ব্যবহার করে থাকে। কোকাবুরার চেয়ে এই বল কিছুটা ভিন্ন। এসজি বলে খাড়া সিম দেখা যায়, কিছুটা ভারীও বটে। এখানে বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখাটাও একটু কঠিন। যে কারণে ফিল্ডারদের বলটাতে বাড়তি যত্ন করতে হয়। এসজির আরেক বড় বিশেষত্ব এর সুইং। বলটি ইনিংসের একেবারে শুরুতে সুইং না করলেও ৫-৬ ওভার পর সুইং শুরু হয়।

সাধারণত কোকাবুরা বলগুলো উজ্জ্বল বর্ণের হয়ে থাকে। এর ফলে ম্যাচের শুরু থেকে বাড়তি সুইং পায় পেসাররা। আবার বলটি পুরোনো হয়ে গেলে বেশি সুবিধা পায় ব্যাটাররা। রাওয়ালপিন্ডিতে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর লিটন-মিরাজের স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারার এও এক বড় কারণ।

 

অন্যদিকে, এসজি বল খানিকটা কালচে বর্ণের হওয়ায় পেসারদের সুইং পেতে বেশ অপেক্ষা করতে হয়। আর এই পার্থক্য বোলার-ব্যাটারদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। মিরপুরের অনুশীলন পর্বে তাই এসজি বল নিয়েই ঘাম ঝরাচ্ছেন বাংলাদেশের বোলাররা।

এর আগে বিসিবি মিডিয়াতে দলের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শরিফুল ইসলামের কণ্ঠেও উঠে আসে এসজি বলের কথা, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে, আরও ভালো মতো নেব। বল যেহেতু একটা ফ্যাক্ট। আমরা খেলছি কোকাবুরাতে, এখন খেলব এসজিতে—এটার সঙ্গে আমরা যত মানিয়ে নিতে পারব, ততই আমাদের জন্য ভালো।’  সূএ:ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ: নাহিদ

» ৩২ নম্বরের বাড়ি নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক লাইভ

» ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন’ উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

» ১৮ জলদস্যু আটক

» শাওন ও সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে ডিবি

» শিরোপার লড়াইয়ে বরিশালকে ১৯৫ রানের টার্গেট দিল চিটাগং

» অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বব্যাপী বিপুল সমর্থন পেয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

» আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান

» ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন কাল

» বোটানিক্যাল গার্ডেনকে প্রকৃতি সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তোলা হবে : উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ভারত সিরিজে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা ‘এসজি বল’– কী আছে এই বলে?

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের শক্তিশালী দল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই চক্রেই ফাইনাল খেলেছে দলটা। প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে খেলা। সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে ভারতের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকারই কথা বাংলাদেশের। সেইজন্য মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে চলছে বাংলাদেশ দলের কঠোর প্রস্তুতি। পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে আসা দলটা এবার ভারতেও ভাল কিছু করে দেখাতে আগ্রহী।

তবে ভারতে বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে অন্য এক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের জন্য ভারত সিরিজে অপেক্ষা করছে অপেক্ষাকৃত অপরিচিত ‘এসজি বল।’ সাধারণত কোকাবুরা খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশ। নিজেদের হোম সিরিজে এই বলই ব্যবহার করে টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও পেয়েছিল কোকাবুরা বল। রাওয়ালপিন্ডির পিচে নিজেদের খেলাটা তাই উপভোগই করেছে বাংলাদেশ।

 

আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনেও লিটন কুমার দাস কথা বললেন এসজি বল প্রসঙ্গে, ‘আপনারা জানেন ভারত বড় একটা দল, আর এই বলে আমরা খুব কমই খেলি। আমাদের প্লেয়াররা খুবই পরিশ্রম করছে দেখা যাক কি হয়। প্রস্তুতি বলতে আমাদের সেরা বোলারদের বলই আমরা খেলছি। কিছুটা কঠিন তো আছেই। আপনি যদি দেখেন কোকাবুরার নতুন বল খেলা কঠিন, তবে পুরাতন বল খেলা সহজ। আর এসজি বলে নতুন বল খেলা সহজ বলেও পুরাতন বল কিন্তু খেলা কঠিন।’

ভারত তাদের হোম সিরিজে নিজেদের দেশের হাতে তৈরি করা এসজি বল ব্যবহার করে থাকে। কোকাবুরার চেয়ে এই বল কিছুটা ভিন্ন। এসজি বলে খাড়া সিম দেখা যায়, কিছুটা ভারীও বটে। এখানে বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখাটাও একটু কঠিন। যে কারণে ফিল্ডারদের বলটাতে বাড়তি যত্ন করতে হয়। এসজির আরেক বড় বিশেষত্ব এর সুইং। বলটি ইনিংসের একেবারে শুরুতে সুইং না করলেও ৫-৬ ওভার পর সুইং শুরু হয়।

সাধারণত কোকাবুরা বলগুলো উজ্জ্বল বর্ণের হয়ে থাকে। এর ফলে ম্যাচের শুরু থেকে বাড়তি সুইং পায় পেসাররা। আবার বলটি পুরোনো হয়ে গেলে বেশি সুবিধা পায় ব্যাটাররা। রাওয়ালপিন্ডিতে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর লিটন-মিরাজের স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারার এও এক বড় কারণ।

 

অন্যদিকে, এসজি বল খানিকটা কালচে বর্ণের হওয়ায় পেসারদের সুইং পেতে বেশ অপেক্ষা করতে হয়। আর এই পার্থক্য বোলার-ব্যাটারদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। মিরপুরের অনুশীলন পর্বে তাই এসজি বল নিয়েই ঘাম ঝরাচ্ছেন বাংলাদেশের বোলাররা।

এর আগে বিসিবি মিডিয়াতে দলের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শরিফুল ইসলামের কণ্ঠেও উঠে আসে এসজি বলের কথা, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে, আরও ভালো মতো নেব। বল যেহেতু একটা ফ্যাক্ট। আমরা খেলছি কোকাবুরাতে, এখন খেলব এসজিতে—এটার সঙ্গে আমরা যত মানিয়ে নিতে পারব, ততই আমাদের জন্য ভালো।’  সূএ:ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com